করোনা ভাইরাস এখন বাংলাদেশে ? ▪▪▪▪▪▪▪▪▪ এই মুহূর্তেও বাংলাদেশে যারা আমরা হাসিখুশি আর আনন্দে সময় কাটাচ্ছি, হাতেগোনা আর কয়েকটা দিন পরেই তা বিলীন হয়ে যেতে পারে আশে পাশে পরে থাকা লাশের পর লাশ দেখে। করোনা ভাইরাস সম্প্রতি বাংলাদেশেও ছড়িয়েছে। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রীর শরীরে করোনা ভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিয়েছে। সিলেটে দুইজনকে করোনা ভাইরাসের রোগী হিসেবে ধারণা করা হয়েছে। তাদের উপসর্গের সবই করোনা ভাইরাসের রোগীর উপসর্গের সাথে মিলে। তারা বিশেষ নজরদারিতে চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়াও গতকাল রাত থেকে এখন অব্দি কিছু অনলাইন পত্রিকায় নিউজ হয়েছে যে, বাংলাদেশ সম্প্রতি করোনা ভাইরাসে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হবার তীব্র ঝুঁকিতে আছে। কয়েকদিনের মধেই তা ভয়াবহ রূপ ধারন করতে পারে। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের বন্দর গুলোতে থার্মাল মেশিন বসানোর জন্য প্রেশার দিয়েছেন। তার মানে বুঝতে পারছেন? এই অবস্থায় আমাদের নিজেদেরকেই নিজের জীবনকে নিরাপদ রাখার জন্য সচেতন হতে হবে। কারন আমাদের দেশে করোনা ভাইরাসের সাধারণ চিকিৎসা দেবার মতো কোন অবস্থা নাই। কারন বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা দ্বারা আমরা কে কতটুকু নিরাপদ সেটা আমরা সবাই ভালো করেই জানি। একটা জার্নালের আর্টিকেলে পড়লাম, ভিটামিন সি শরীরে করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম এবং গলা শুকানোর আগেই প্রচ্চুর পানি পান করলে ভাইরাস ফুসফুসে এটাকের আগেই পাকস্থলীতে নেমে যাবে পানির সাথে৷ আর পাকস্থলীতে বিদ্যমান এসিডের মাধ্যমে ভাইরাসের মৃত্যু হবে। #করণীয়ঃ ★ আমাদেরকে এই মুহুর্ত থেকেই প্রচ্চুর ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল এবং জুস ভালো করে ধুয়ে খেতে হবে। ফলে ফরমালিন আছে সন্দেহ হলে খাওয়ার আগে ১৫-২০ মিনিট ফল পানিতে ভিজিয়ে রেখে তারপর ভাল করে ধুয়ে খান। ★ লেবুর শরবত পান করতে হবে আর সারাদিন প্রচ্চুর পানি পান করতে হবে। ★ মাস্ক ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়ার কথা ভুলেও ভাবা যাবে না। তবে এক মাস্ক বেশিদিন ব্যবহার করা যাবে না। ★ একান্তজন না হলে হাঁচি-কাশি আর জ্বর-ঠান্ডায় আক্রান্ত রুগীর কাছ থেকে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখাই শ্রেয়। ★ মাছ, মাংস, ডিম ভালভাবে সেদ্ধ করে তারপর খেতে হবে। ডিম কাচা বা হাফবয়েল খাওয়ার চিন্তা মাথা থেকে একেবারে ঝেঁড়ে ফেলুন। ★ বাইরে থাকা অবস্থায় প্রতিঘন্টায় হাত হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ধুয়ে নিন। ★ প্রতিদিন গোসল করুন। পানির সাথে ডেটল বা স্যাভলন লিকুইড মিক্স করে নিলে ভাল হয়। ★ নিতান্ত প্রয়োজন না হলে শিশুকে ঘরের বাইরে না নেওয়াই শ্রেয়। ★ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে ঘুরাঘুরি বন্ধ করুন। ★ অনলাইনে ফুড প্রোডাক্ট কিংবা বাইরে থেকে আনার জন্য প্রোডাক্ট অর্ডারে সাবধানতা অবলম্বন করুন। দেশের বাইরের প্রোডাক্ট অর্ডার দিয়ে এখন না কেনাই ভালো। ★ নামাজে মুনাজাতে বসে একে অন্যের জন্য দোয়া কান্নাকাটি করি আর আল্লাহর কাছে এই ভাইরাসের আক্রমণ থেকে মাফ চাই। সবাই একসাথে বাঁচতে চাই। করোনা ভাইরাস নিশ্চিত মৃত্যুর দলিল নিয়ে শরীরে প্রবেশ করে। তাই প্লিজ, আসুন সবাই সবার সাথে আর দশটা প্রয়োজনীয় টপিকের সাথে এই করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকার উপায় নিয়ে আলোচনা করি। বাংলাদেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে গেলে আমি-আপনি বা আমার-আপনার যে কোন প্রিয়জন লাশ হয়ে যেতে পারে অসময়ে। প্লিজ অনুরোধ রইলো। আসুন সচেতনতার মাধ্যমে আমরা নিজেই নিজেকে সুস্থ্ এবং করোনা ভাইরাস মুক্ত রাখি। (সুত্রঃ- অনলাইন)
0 Comments